স্বদেশ ডেস্ক:
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সর্বশেষ স্বাস্থ্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে বৈঠকে বসেছে তার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড। আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে দশ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড তাদের পর্যালোচনা বৈঠক শুরু করেন।
এদিন দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর আগে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল জানান, খালেদা জিয়ার মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরবর্তী বিভিন্ন জটিলতা রয়েছে। সেজন্য ‘মানবিক’ বিবেচনায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমণ্ডির বাসায় গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তিনি লিখিত আবেদন জমা দেন। ওই আবেদন ‘পজিটিভলি’ সরকার দেখছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ ছাড়া আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয় গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ বৃহস্পতিবার আইনমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি মানবিক কারণে দ্রুত সিদ্ধান্ত জানাবে সরকার। আবেদন আমার হাতে আসলে সেই বিষয়ে মতামত দেব।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর এখন ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন। শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় গত সোমবার দুপুর ২টার দিকে তাকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়।
গত বছর ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে দুই মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়াকে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয় সরকার। এরপর আরও দুই দফা তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। কারাগার থেকে মুক্তির পর তিনি গুলশানে নিজের ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার তাকে বাসা থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।